তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দোস্ত মোহাম্মদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি-ডুজা।

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে ডুজার সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল এ দাবি জানান।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুন রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্টেশনে একটি চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে চবিসাসের সদস্য ও অনলাইন পোর্টাল ঢাকা স্টেটের চবি প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদের উপর হামলা চালায় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হানসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী। এসময় সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও তাকে বেল্ট দিয়ে বেধড়ক পিটুনি, পেটে লাথি দেওয়াসহ এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে মারাত্মক আহত করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা।

বর্তমানে দোস্ত মোহাম্মদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। তদুপরি একজন সাংবাদিককে আঘাত করা সমাজে বৃহত্তর ক্ষতের তৈরি করে, আইনের শাসনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আমরা মনে করি, একজন সংবাদকর্মীকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন দেশের সংবিধান প্রদত্ত ‘সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা’র ধারণার পরিপন্থি।

‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা বলতে চাই- চবি ক্যাম্পাসে প্রায়শই সাংবাদিক হেনস্তা ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে পূর্বের ঘটনাগুলোর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হলে বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলে আমরা বিশ্বাস করি। অবিলম্বে সাংবাদিক নির্যাতনের সকল ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, দেশের সকল ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছি।’

ডুজা নেতারা ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদানে বারংবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ছাত্রলীগের ‘চেইন অব কমান্ড’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সাংবাদিক দোস্ত মোহাম্মদের ঘটনায় দোষীদের সাংগঠনিক শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ থাকার প্রমাণ দেবে সংগঠনটি।

এইচআর/এমজে