কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের চূড়ান্ত পরীক্ষার উত্তরপত্র হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও শেষ হয়নি তদন্ত কার্যক্রম। এতে ফলাফল আটকে থাকায় দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে ওই সেশনের শিক্ষার্থীদের।

২০২০ সালের ১ মার্চ শেষ হয়েছিল এই কোর্সের পরীক্ষা। ২০২১ সালের এপ্রিলে এসে উত্তরপত্র হারানোর ঘটনা প্রকাশ পায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, উত্তরপত্র কীভাবে হারিয়ে গেল ভেবে পাচ্ছিনা। দুশ্চিন্তায় আছি। এমনিতেই করোনায় অনেক পিছিয়ে গেছি। এখন আবার আরেক সমস্যায় পড়লাম।

উত্তরপত্র হারানোর ঘটনার দুই মাস পরও তদন্তকাজে অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে লকডাউনকে দায়ী করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত কার্যক্রম আটকে যাওয়ার বিষয়ে কমিটির আহবায়ক ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। এর মধ্যে লকডাউন শুরু হয়ে গেল।

কবে নাগাদ এই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লকডাউন শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো। 
এসময় রেজিস্ট্রার দফতর থেকে চিঠি পেতে বিলম্ব হওয়ায় তদন্ত কমিটির কার্যক্রমও বিলম্ব হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, খাতা হারানোর বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত হয় । সিন্ডিকেটে অনুমোদন না পেলে চিঠি দেওয়া যায় না। আর একাডেমিক কাউন্সিল হয়েছে সিন্ডিকেটের প্রায় ১৫-২০ দিন আগে । এখানেও ১৫-২০ দিন বিলম্ব হয়ে গেছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরী তদন্ত কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, এখন লকডাউন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তবে আমরা প্রাথমিক কাজ শেষ করছি। লকডাউন শেষে বাকিটা দেখা যাবে।

বিষয়টি তদন্তাধীন উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি গণিত বিভাগের প্রধান খলিফা মোহাম্মদ হেলাল।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এমটিএইচ-২২১ রিয়েল এনালিসিস-২ কোর্সের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার উত্তরপত্র হারিয়ে যায়। এ কোর্সের শিক্ষক ছিলেন প্রভাষক মো. আতিকুর রহমান।

জাভেদ রায়হান/ এমআইএইচ