কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ে অনলাইন ক্লাসের জন্য স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটার আশ্বাস দেওয়া হলেও অর্থনৈতিক সংকটে শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পায়নি এ প্রকল্প। এতে অনেক শিক্ষার্থীই উচ্চখরচে ইন্টারনেট ডাটা কিনে অনলাইনে যুক্ত হতে না পারায় বঞ্চিত হচ্ছেন ক্লাস থেকে।

জানা গেছে, গেল বছরের ১৮ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস সংকটে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সে বছরেরই ১৫ জুলাই থেকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলোর উচ্চমূল্যের ইন্টারনেটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীই অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে সন্তান। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী এসব শিক্ষার্থীর পক্ষে উচ্চমূল্যে ডাটা কিনে ক্লাস করা সম্ভব হয় না। প্রশাসন স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটার ব্যবস্থা করলে প্রায় সব শিক্ষার্থীর পক্ষেই অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হতো।

এ সমস্যা সমাধানে গত নভেম্বর মাসে শিক্ষার্থীদের কমমূল্যে ইন্টারনেট ডাটা দেওয়ার চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় দুইটি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা ও গ্রামীণফোন কোম্পানি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

তবে শিক্ষার্থীদের চাহিদানুযায়ী ইন্টারনেট ডাটা সরবরাহে বিশ্ববিদ্যালয়কে বড় অঙ্কের টাকা ভর্তুকি দিতে হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রতিমাসে এ টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে শেষপর্যন্ত চুক্তিতে এগোতে পারেনি প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদানুযায়ী ইন্টারনেট ডাটা দিতে প্রতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৮-২০ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় অপারেটদের সঙ্গে আর চুক্তিটি করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আয় করার কোনো সিস্টেম নাই। তবে ইউজিসি থেকে আমাদের সাহায্য করা হলে আমরা হয়তো অন্য কোন ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

এমএসআর