ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গাজায় নিরীহ মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এ দেশের মানুষ ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য নানারকম উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনের দূতাবাসে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।


একদিন উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২০ মে) জবি শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিন দূতাবাসে প্রায় ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ ও আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে দিয়েছে।

জানা যায়, গত ১৭ মে ইসরায়েলের নৃশংসতার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য গণঅনুদানের আহ্বান জানায় ঢাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাস। যেখানে মোবাইলভিত্তিক অর্থ লেনদেনের পাশাপাশি সরাসরি দূতাবাসে গিয়েও অনুদান জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল।

দূতাবাসের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৮ মে জবির বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া তার কিছু সহপাঠী ও পারিবারিক প্রচেষ্টায় দূতাবাসে ওষুধ ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন। এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে জবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি ‌‘ফিলিস্তিনের জন্য জবিয়ানদের উপহার’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে ও অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়।

১৯ মে থেকে শুরু হওয়া এই ফান্ড কালেকশন চলে ২০ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত। একদিনের এই উদ্যোগে মোট ১৯ হাজার ৫০০ টাকা সংগ্রহ উত্তোলন করা হয়। যার মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ দূতাবাসে পৌঁছে দেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ফিলিস্তিন দূতাবাসের দেওয়া নগদ নম্বরেও আর্থিক সাহায্য পাঠানো হয়েছে। 

মানবিক এই উদ্যোগের ব্যাপারে জবির বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনের আহত মানুষদের সহায়তার বিষয়টি নজরে আসলে আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ কাজ করি। 

একই বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, প্রথমে বিষয়টি পরিবার, সহপাঠী ও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করি। পরবর্তীতে খন্দকার আশিক, সুজয় কুমার দাস, রাইনুমা শিফা, মাশা মীম, ইমরান হোসাইন আদিব, সাইফুর রহমান সাজিদ, আমেনা ভুইয়া, তাসনিম মীম, জেমি, মুন্না মুসলিমা মিতা, হাসিব আলী, সাহস, জুলফা, তাসমী, ফয়জুল্লাহ, তামিম, রোমেল, মাহির মিয়াদ, জুথি, কাওকাব, অমি, নাফিজ প্রমুখ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দূতাবাসে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন হয়।

বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী একরামুল কবির রাকিব বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দূতাবাসে ওষুধ ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছানোর মাধ্যমে আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। তাই মানসিকভাবে আমাদের ভালো লাগছে।

এমটি/ওএফ