ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ‘লস রিকভারি প্ল্যান’ প্রণয়ন করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক বিশেষ ভাচুর্য়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লস রিকভারি প্ল্যানের আওতায় সেমিস্টার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরীক্ষাসহ সেমিস্টারের সময় ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর বার্ষিক কোর্স পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেসব বর্ষের/সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের সেশনজট হয়েছে কিংবা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের সেশনজট নিরসনের জন্য এই পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়েছে। আশাকরি এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা সেশনজট কাটিয়ে উঠতে পারব।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।

এইচআর/ওএফ