ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে ডাম্পিং জোন ও ময়লার ভাগাড়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার ভবনের (প্রশাসনিক ভবনে) সামনের একটি অংশ যেন ডাম্পিং জোন ও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফিটনেসবিহীন পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা কেন্দ্রের অগ্রভাগে। এতে করে প্রশাসনিক ভবনে সৌন্দর্য ও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র মনে করা হয় রেজিস্ট্রার ভবনকে। যেখানে ৩৭ হাজারের বেশি নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রাপ্তি ও একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য আসতে হয়। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সংবাদকর্মীদেরও নিয়মিত পদচারণ হয় এ ভবনে।
বিজ্ঞাপন
ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবনে ঢুকতে গেলে প্রবেশপথের ডানদিকে নজর যাবে যে কারোর। যেখানে রাখা ভাঙাচোরা দুটি বাস ও একটি অ্যাম্বুলেন্স। ঠিক তার সামনে রাখা ময়লা-আবর্জনা। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনের এমন বেহাল দশা যেন কেউ দেখেও দেখে না।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
প্রশাসনিক ভবনের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাস দুটি বহুদিন ধরে এখানে রাখা আছে। ভবনে পেছনের দিকেও রাখা আছে অকেজো ৫-৭টি বাস। ভবনের সামনের এমন অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে তারা বিব্রত।
ঢাবির প্রশাসনিক ভবনের কর্মচারী ও প্রধান সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে বাসগুলো এখানে আছে। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্রি করবে অথবা ওয়ার্কশপে নেবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি গাড়ি ওয়ার্কশপে নিয়ে ঠিক করে এনেছে। এ বিষয়ে পরিবহন ম্যানেজার বিস্তারিত বলতে পারবেন।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ম্যানেজার মোহাম্মদ কামরুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফিটনেসবিহীন মেয়াদোত্তীর্ণ বাসগুলোর নিলাম প্রক্রিয়াধীন। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে নিলাম হয়ে যাবে। নিলাম প্রক্রিয়া অনেকদিন ধরে চলমান ছিল। এজন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করতে হয়েছে। এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৫ আগস্টের আগেই। খুব দ্রুতই বাসগুলো সরানো হবে, না হলে নতুন বাস নিয়ে এলেও রাখার জায়গা হবে না। নিলামের প্রক্রিয়া অফিসিয়ালি শেষ পর্যায়ে আছে।
কয়টি বাস নিলাম হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে বাসগুলো মানসম্পন্ন ও চালিয়ে যাওয়ার উপযুক্ত, সেগুলো বিআরটিএর অনুমতি নিয়ে চালিয়ে যাওয়া হবে। এটা নিয়ে মিটিংও হয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। যেগুলো একেবারেই চালানোর উপযোগী না সেগুলো নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মোট ৬টা গাড়ি নিলামে বিক্রি হবে। মেডিকেল সেন্টারের পরিত্যক্ত অ্যাম্বুলেন্সটিও পরিবহন দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে নিলামের জন্য।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সাইমা হক বিদিশা বলেন, বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি পরিবহন অফিস এবং ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ এস্টেট অফিস করে থাকে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাব তারা যেন এ জায়গা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করে। পরিবহন ম্যানেজারকে জানানো হবে বাসগুলো সরিয়ে ঠিকঠাক জায়গায় রাখার জন্য।
এসএসএইচ