খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটি-পিসিআর মেশিন পরিদর্শনে প্রতিনিধি দল

প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটি-পিসিআর মেশিন পরিদর্শন করেন। শনিবার (১২ জুন) সকাল ১১টায় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগার ভবনে জিনোমিক্স ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ-সুবিধাদি দেখেন।

এ সময় তারা করোনা নমুনা পরীক্ষার বিভিন্ন দিক উল্লেখ করেন এবং বায়োসেফটি অ্যান্ড বায়োমেজরিটির বিষয় নিয়েও কথা বলেন তারা। ল্যাবে বর্তমানে যে সুবিধা আছে তাতে নমুনা পরীক্ষার উপযোগিতার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কয়েকটি বিষয়ে সুযোগ বৃদ্ধিতে পরামর্শ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস প্রতিনিধি দলের সদস্যদের স্বাগত জানান এবং এই ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা দ্রুত শুরু করার ব্যাপারে বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের একান্ত আগ্রহ ও নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন।

খুলনায় করোনার নমুনা পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবকে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণে উপাচার্যের পক্ষ থেকে কেসিসির মেয়র, জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানানোর কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

একই সাথে রেজিস্ট্রার আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টোর কথাও স্মরণ করেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে খুমেকের সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম তুষার আলম, জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুল ইসলাম, খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের যুগ্ম পরিচালক ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এই পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ল্যাবের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টেনিক্যাল প্রতিনি ধদল খুলনা মেডিকেল কলেজ ও করোনা পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি দেখবেন।

অপরদিকে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে রোববার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা পরীক্ষার ল্যাব সম্পর্কে একটি রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এরপরই সরকারের যথাযথ অনুমোদন পেলেই খুব দ্রুত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা নমুনা পরীক্ষা শুরু করা হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ল্যাবে প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন প্রায় ১০০ নমুনা পরীক্ষা  করা যাবে।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর