কোনো কাজ না হওয়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকা চলতি অর্থবছর শেষে ফেরত যাচ্ছে। ফলে সহজেই আলোর মুখ দেখছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ওয়েবসাইট।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি যুগোপযোগী ওয়েবসাইট তৈরির লক্ষ্যে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট পর্যবেক্ষণ করে গত ১৮ জানুয়ারি ১৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ডেমো ডিজাইন প্রদর্শনের অনুরোধ জানানো হয়। এর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ডেমো ডিজাইন প্রদর্শনে সম্মতি দেয়। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ১৫ মার্চ উপাচার্যের মৌখিক নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়েবসাইট উন্নয়নের কাজ স্থগিত করে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ওয়েবসাইট উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ছিল ১০ লাখ টাকা। কিন্তু খরচ করতে না পারায় এ অর্থবছরে তা ফেরত যাচ্ছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ওয়েবসাইট থাকলেও সেখানে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। অতিরিক্ত চাপে ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার রুটিন থেকে শুরু করে গবেষণার বিস্তারিতসহ বিভিন্ন বিভাগের সব ধরনের বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এর কিছুই নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, এটা কোনো ওয়েবসাইটের কাতারেই পড়ে না। ওয়েবসাইট বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থাপন করে। কিন্তু আমাদের অনেক কাজ হলেও তা ঠিকভাবে উপস্থাপন হয় না। শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব তথ্য ওয়েবসাইটে থাকার কথা থাকলেও এখানে নেই।

ওয়েবসাইট উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা ব্যবহার না করতে পারার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট কমিটির আহ্বায়ক ও আইন অনুষদের ডিন ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা ওয়েবসাইট কমিটি কয়েকটি সভা করেছি। কিন্তু গত মার্চ মাসে হঠাৎ করে উপাচার্যের নির্দেশে কমিটির কাজ স্থগিত করতে হয়। জানি না কেন এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটাই এগিয়েছিল। আমাদের কাজে কোনো শূন্যতা ছিল না। কাজের অনুমতি পেলে আবার শুরু করতে পারব।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি ওয়েবসাইট কমিটির কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেননি দাবি করে বলেন, কমিটিতে যারা ছিল তারা এ বিষয়ে বলতে পারবে। মৌখিক নির্দেশ বলে কোনো নির্দেশনা নেই। দেখি আমি কথা বলব। করোনার কারণে তো অনেক কিছুই করা যাচ্ছে না। এটা আমরা প্রয়োজনে পরের বাজেটে যুক্ত করব।

এসপি