জবি ক্যারিয়ার ক্লাবের বিজনেস কেইস কম্পিটিশন সম্পন্ন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের (জেএনইউসিসি) উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো ‘পুষ্টি’ প্রেজেন্টস এবং পাওয়ার্ড বাই ‘তিলোত্তমা বাংলা গ্রুপ’ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস কেইস কম্পিটিশন ‘ডেসোইট অব এক্সিলেন্স ২.০’ সম্পন্ন হয়েছে।
এবারের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস কেইস কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম বিজমাস্টার্স। প্রথম রানার আপ হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ইম্পেরিয়াল মার্চ, দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) টিম গেমপ্ল্যান এবং উদীয়মান টিম হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর টিম অ্যাপোক্যালিস।
বিজ্ঞাপন
কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন টিম পাবে ৪০ হাজার টাকা, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ টিম পাবে যথাক্রমে ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা এবং উদীয়মান টিম পাবে ১০ হাজার টাকা।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই কম্পিটিশনে দেশের ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন টিম অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয় ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় ও লকডাউনের কারণে প্রায় তিন মাস ধরে চলে এই কেইস কম্পিটিশন।
তিন মাসব্যাপী আয়োজন শেষে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার (২৬ জুন) কম্পিটিশনটির পর্দা নামে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্র্যান্ড এবং যোগাযোগের প্রধান হেড (টি.কে. টিম) এমডি ইব্রাহিম খলিল, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, বিজয়ী টিমের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস কেইস কম্পিটিশন আয়োজন আমাদের জন্য একটি মাইলস্টোন। আমাদের মূল লক্ষ্য সবার সঙ্গে বন্ধন অটুট রাখা। সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগী মনোভাব এবং এখন থেকেই যেন শিক্ষার্থীরা নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে সেজন্যই এমন আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, কর্মকাণ্ডের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব সেরা। এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠনকে দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পেরেছি, যা সত্যিই আনন্দদায়ক।
এমএইচএস