করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’ চলাকালে অনলাইনেও পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সোমবার (২৮ জুন) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি জানান ঢাবি উপাচার্য। এর আগে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে সশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে ১ জুলাই থেকেই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থান করায় সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ ভালো নাও হতে পারে। এসব শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য নিকটস্থ উপজেলা শহর কিংবা অন্যত্র যেতেও হতে পারে। কঠিন লকডাউন শুরু হলে তারা বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবে না। সুতরাং কঠোর লকডাউন থাকলে  অনলাইন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।

উপাচার্য আরও বলেন, কঠোর লকডাউন শেষ হলে বিভাগগুলো চাইলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের পরীক্ষা ৪ জুলাই এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা ৩ জুলাই থেকে শুরুর ঘোষণা দিলেও লকডাউনের কারণে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানালে তা স্থগিত করে বিভাগগুলো।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির ভীষণ অবনতি হওয়ায় সরকার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া আসলেই সম্ভব নয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। পরীক্ষাটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

এ পরীক্ষা কখন নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত পরীক্ষা অনলাইনে নিতে হবে। তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। এটার জন্য সময় লাগবে। পরীক্ষার বিষয়টি আমরা শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেব। তাছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সশরীরে নেওয়া হবে, তবে আপাতত মনে হচ্ছে পরিস্থিতিও এতো তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হচ্ছে না।

এইচআর/এসকেডি