চলমান লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৫ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) সামনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরীনা নাজনীনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ডিএসসিসির ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট ক্যাম্পাসের আইএমএলের সামনে আসেন। এ সময় আইএমএলের সামনে অবস্থানরত কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়। যাদেরকে জরিমানা করা হয় তাদের সঙ্গে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডা হয়। যাদের জরিমানা করা হয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ম্যাজিস্ট্রেট যা করেছিল তা সঠিক কাজ। এখন রাষ্ট্রের ইমারজেন্সি সময় চলছে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবস্থান করা আইন বহির্ভূত। বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে তিনি স্বাগত জানান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরীনা নাজনীন বলেন, শাহবাগ থেকে ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েকজনকে দেখি মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন। তার স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাদের সতর্ক করা হলেও তারা মানেননি। তাই তিনজনকে যথাক্রমে ৫০০, ২০০ ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনার আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা করতে পারি। এই আইন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য। কোনো প্রতিষ্ঠান এর আওতামুক্ত নয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আমি দেখেছি আবাসিক হলে কিংবা একাডেমিক ভবনে অভিযান চালালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। আমি যেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা না। সেটি রাস্তার মধ্যে ও রাস্তাগুলো সিটি করপোরেশনের অধীন।

এইচআর/ওএফ