মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সীমিত পরিসরে উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা।

পরে বেলা ১১টায় অনলাইনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা। এছাড়াও প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি প্রকল্প চত্বরে বৃক্ষরোপণ করা হয়। 

আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, বিগত প্রায় সাত দশক ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য ও উৎকর্ষের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। আগামী দিনগুলোতেও সে সফলতা অক্ষুণ্ন থাকবে। 

প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটির জন্মদিনকে ঘিরে থাকে নানা আয়োজন। ক্যাম্পাস নতুন রুপে সাজানো হয়। ছাত্র-শিক্ষকদের পদচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে ক্যাম্পাসে। কিন্তু এবার করোনার থাবায় সীমিত পরিসরে ঘরোয়া আয়োজনের মধ্যে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। 

সীমিত পরিসরের এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একে এম মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।   

প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই মাত্র ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। কালের বিবর্তনে বর্তমানে ৭৫৩ একরের বিশাল ভূমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। রয়েছে এক হাজার ২০০ শিক্ষক ও দুই হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ৫৯টি। ১২টি একাডেমিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল রয়েছে ১১টি ও ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ছয়টি হল। এছাড়াও গবেষক ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক ডরমিটরি।

মেশকাত মিশু/আরএআর