চট্টগ্রামে মারা যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইনের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জবি শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার সহপাঠীরা ফোনে যোগাযোগ করলে আশেপাশে অবস্থান করছে বলে জানায়। সর্বশেষ রাতে যখন যোগাযোগ করা হয় তখন সে কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরবে বলে তার বড় বোনকে জানায়।

রাত ৮টা ৫৩ মিনিটের দিকে জানা যায়, সে চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দায়িত্বরত চিকিৎসকের বক্তব্য, পুলিশের তদন্ত ও প্রাপ্ত আলামতের ভিত্তিতে স্পষ্ট হয় যে, এটি কোনো আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা নয়। কারণ তাকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে সূত্রমতে জানা যায়। এমন আরও কিছু সূত্র পুলিশের কাছে রয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় আকবরের পরিবার একটি মামলাও করেছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকবরের অবস্থা ছিল খুবই আশঙ্কাজনক। তিনি ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আকবরের সহপাঠীরা জানান, আমাদের সহপাঠীর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আকবর হত্যার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে মানববন্ধনসহ প্রয়োজনে আমরণ অনশন কর্মসূচীতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেব।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, থানায় কথা বলেছি। ঘটনার দিন আকবর হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সট্রাগ্রাম ব্যবহার করে কথা বলেছে। কিন্তু মোবাইল ফোন থেকে সব কিছু মুছে (ডিলিট) ফেলা হয়েছে। খুলশী থানা থেকে এসব তথ্য উদঘাটনের জন্য মোবাইল ফোন ঢাকায় ডিবিতে পাঠিয়েছে। শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমটি/ওএফ