ঢাবিতে সমাজকর্ম শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে `সোশ্যাল ওয়ার্ক এডুকেশন ইন বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড অপারচুনিটি' শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা আখতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম এবং ইউনিভার্সিটি সেইনস মালেশিয়ার অধ্যাপক ড. আজলিনডা আজমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহীন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী।
বিজ্ঞাপন
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে আমাদের সমাজে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটবে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সমাজের মানুষের খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সমাজকর্ম বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এজন্য এখন থেকেই সমাজকর্ম বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত হতে হবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সমাজকর্ম শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আমাদের দেশে সমাজকর্মের পেশাগত স্বীকৃতি অত্যন্ত জরুরি। দেশ, জাতি ও বিশ্বের উন্নয়ন ঘটাতে পরস্পরের মধ্যে হানাহানি,
লোভ-লালসা ত্যাগ করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সমাজে সংস্কার ঘটলে, তার পরিবর্তনের ঢেউ লাগে একটি জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে। সমাজকর্ম একটি একক বিষয় হলেও এতে বহুমাত্রিকতা রয়েছে। তাই জাতীয়ভাবে সমাজকর্ম বিষয়ক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
এইচআর/ওএফ