পরিকল্পিতভাবে কোরআন অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র (ইশা) ছাত্র আন্দোলন। এর মাধ্যমে যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে তাদের দ্রুত বিচারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।  

আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ দাবি জানানো হয়।  

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কার্জন হলের সামনে এসে শেষ হয়। এতে সংগঠনটির অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। 

এ সময় তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ইশা ছাত্র আন্দোলন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘আমার সোনার বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই’, ‘মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘মসজিদে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার জেগে ওঠো আরেকবার’, ‘ধর্মীয় সংস্কৃতি, রক্ষা করো করতে হবে’, ‘অসাম্প্রদায়িকতার বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই,’ ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

মিছিল শেষে কার্জন হলের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বলেন, সরকার সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করবে না। কারণ, সেটা করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। যত বড় বড় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে সবগুলো আওয়ামী লীগের আমলে ঘটেছে এবং তারা এর কোনো বিচার করেনি। সরকার সময় থাকতে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে না। কিন্তু পরে নিরীহ মানুষজন মারা যাওয়ার পর নামে মাত্র ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে।

সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান বলেন, সারা দেশে যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের পেটে আগুন জ্বলছে, এই অপরাধকে ঢাকার জন্য একটি কুচক্রীমহল মানুষের ঘরে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। কোনো মুসলাম কিংবা হিন্দু কেউই মূর্তির ওপর কোরআন রাখতে পারে না। যারা কোরআন রেখেছে তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবেই রেখেছে। তারা চায় এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগুক। আর সে সুবিধা ভোগ করে তারা বারবার ক্ষমতায় আসুক।

বিকেল ৩টায় তাদের এই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আগে থেকে অবস্থান নেন। এছাড়া দুপুরে এক সমাবেশ থেকে ইশা ছাত্র আন্দোলনের এই কর্মসূচি প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

এর জবাবে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব বলেছেন, একটি সংগঠন আমাদের কর্মসূচি প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা বলবো আমরা সংঘাতের পক্ষে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই সবার মত প্রকাশ করবে, এই বিশ্ববিদ্যালয় কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর না। অতএব আগামী দিনে এই ধরনের সন্ত্রাসীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

এইচআর/এনএফ