ফুল দিয়ে পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বরণ
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছরে ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়ার পর ১৯ মাস অতিবাহিত করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল। দীর্ঘদিন পর আঁধার কাটিয়ে হলে উঠছে শিক্ষার্থীরা। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদের পদচারণায় প্রাণ ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। বহুদিন পর দেখা সাক্ষাতে একে অপরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ কুশল বিনিময় করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি হল খুলে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা করোনার টিকা নেওয়ার সনদ দেখিয়ে সকাল ১০টা থেকে হলে উঠছেন। শিক্ষার্থীদেও বরণ করে নিচ্ছেন হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হচ্ছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
বিজ্ঞাপন
এদিন দুপুরে বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা যায়, প্রবেশপথে শিক্ষার্থীদের থেকে টিকা গ্রহণের সনদ ও হল কার্ড দেখে তাদের ছাত্রত্ব চিহ্নিত করছে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ। এরপর ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের এমন ব্যবস্থাপনা দেখে খুশি শিক্ষার্থীরা।
কথা হয় বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবু রহমান হলের আশরাফ উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেকদিন পরে হলে এসে সবই অপরিচিত লাগছে। হলের সেই চিরচেনা রুপ হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তারপরও নিজের কাছে ভালো লাগছে। সকাল ১০টায় হলের গেটে এসে নিজের কাগজপত্র দেখিয়েছি। হল কর্তৃপক্ষ আমাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা হলের অনার্স শেষ বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীদা ইসলাম বলেন, ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার বিষয়টি ভালো লাগছে। হল কার্ড ও টিকা কার্ড প্রদর্শন করে হলে উঠতে পারছি। হলে ফিরতে পেরে আমার যে পরিমাণ ভালো লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে অনেকদিন পরে দেখা হলো। সবাইকে কাছে পেয়ে আনন্দ লাগছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর ড. হাসিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, ১৯ মাস পরে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে হলগুলো। আমরা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করছি। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিয়মনীতির মধ্যে চলবে ক্লাস।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২৫ অক্টোবর থেকে সব বিভাগের ক্লাস শুরু হবে। এর আগেই হল খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করানো হচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাকিব হাসনাত/এমএসআর