বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পার্থ সারথী

বছরখানেক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে দ্বারে-দ্বারে গিয়েছিলেন নিজে। এখন দুটি কিডনিই বিকল হয়ে হাসপাতালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পার্থ সারথী পীযুষ। তবে সন্তানের জন্য একটি কিডনি দিচ্ছেন তার মা। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনে সাধ্যের বাইরে খরচের পাশাপাশি মরার উপর খরার ঘা হয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপসহ নানা সমস্যা। 

পার্থ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার সিন্দুরিয়া দেউতিরহাট গ্রামের মৃত ভবেশ চন্দ্র রায়ের কনিষ্ঠ সন্তান পার্থ। বর্তমানে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পার্থ। একটি কিডনি প্রতিস্থাপনে চিকিৎসা বাবদ খরচ পড়বে প্রায় ২০ লাখ টাকা। এতে অনেকটা দিশেহারা তার পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সালের শেষের দিকে কিডনিতে জটিলতা ধরা পড়ে পার্থর। তখন কিডনির পয়েন্ট লেভেল কম থাকায় ওষুধ আর রুটিনমাফিক চলে মোটামুটি সুস্থ ছিলেন তিনি। এরমধ্যে ২০১৫ সালে চিকিৎসার জন্য ভারতেও যান তিনি। কিন্তু পাসপোর্ট জটিলতায় ভিসা বাতিল হয়ে চলে আসতে হয় দেশে।

একসময় অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে দ্বারে-দ্বারে গিয়েছিলেন পার্থ সারথী

এর আগে, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় চিকিৎসার জন্য পড়ালেখা প্রায় ২ বছর বন্ধ ছিল। কিছুটা সুস্থ হয়ে পড়াশোনায় ফিরলেও রাজশাহীতে রুটিনমাফিক চলাফেরা করতে না পারায় পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে না পেরে জটিলতা আরও বাড়তে থাকে। পরে চিকিৎসক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বা ডায়ালায়সিস করার পরামর্শ দেন। কিন্তু নিয়মিত ডায়ালায়সিস করার ব্যয়ের কথা ভেবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পথে আগায় পরিবার।

পার্থের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮ বছর আগে আক্রান্ত হন কিডনিজনিত রোগে। ছোটোবেলা থেকেই উচ্চরক্তচাপ ছিল তার। আর সম্প্রতি ধরা পড়েছে ডায়াবেটিসও। রোগীর অন্য কোনো রোগ থাকলে কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব না হওয়ায় এখন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা চলছে তার। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে এলে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যাবে।

এদিকে চিকিৎসা চালিয়ে নিতে বর্তমানে মোটামুটি ৪ লাখ টাকার মতো আছে তাদের হাতে। ভিটেমাটির একটি অংশ বিক্রি করলে কিছু টাকা ব্যবস্থা করা সম্ভব হলেও বাকি টাকা ব্যবস্থা করতে দিশেহারা তারা। ২ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট পার্থকে বাঁচাতে দেশ-বিদেশের হৃদয়বান মানুষদের কাছে মানবিক আবেদন জানিয়েছেন তার মা।

পার্থর মা লাভলী রানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওর বাবার যা সম্পত্তি ছিলো তাও প্রায় শেষ। বাড়িভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই বিক্রি করার মতো। ছেলেকে বাঁচাতে সব বিক্রি করে দিয়েছি। চিকিৎসার খরচ আর বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

পার্থর জন্য কেউ সাহায্য পাঠাতে চাইলে বিকাশ + রকেট: 01537078226; নগদ: 01754056199; ব্যাংক এশিয়া: 108335200017 ও সোনালী ব্যাংক: 5210034179747 লালমনিরহাট শাখার হিসাবে অর্থসহায়তা পাঠানো যাবে।

এমএসআর