১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিবসটি উদযাপন করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে নানা রঙে। প্রশাসন ভবন, স্মরণ চত্বর, শহীদ মিনার ছাড়াও সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস। গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে শোভাযাত্রা, প্রশাসন ভবন সংলগ্ন জারুল তলায় জমায়েত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতাররের সভাপতিত্বে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার দিবস উদযাপন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান।

উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সর্ববৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর। চারটি বিভাগ, সাতজন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আছে ৯টি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউট। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯০০ শিক্ষক ও ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাব। আমার সুদক্ষ সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গুরু দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি আমার কাঁধে দিয়েছেন, তা সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আর এ পথচলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে একটি পরিবারের মতো এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ও গৌরবােজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে চবির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

এসপি