চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাংবাদিক সমিতির সদস্য ইফতেখায়রুল ইসলামকে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের ঘটনায় বিচারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। বুধবার (৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যম উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বরাবর দেওয়া এক অভিযোগপত্রে এ দাবি জানানো হয়।

চবিসাসের সভাপতি ইমরান হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্নার পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অভিযোগপত্রে বলা হয়, চবিসাস সদস্য ইফতেখায়রুল ইসলামকে চবির এক শিক্ষার্থী মুঠোফোনে প্রক্টর পরিচয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

জানা যায়, হুমকিদাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইমলাম চৌধুরী। সম্প্রতি ওই শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার হন।

নিয়মানুযায়ী বহিষ্কৃত কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে জানতে পেরে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে গত সোমবার আরবি বিভাগের সভাপতি ড. মুহাম্মাদ শাযআত উল্লাহ ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইফতেখায়রুল ইসলাম।

এর পরদিন মঙ্গলবার সকালে ওই শিক্ষার্থী চারটি ভিন্ন নাম্বার থেকে কল করে প্রক্টর পরিচয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেব বলে হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চবিসাসের এই সদস্য।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, চবিসাস মনে করে এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায়। তাই অতিসত্ত্বর অপরাধীর কঠোর শাস্তি দাবি করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি। একজন শিক্ষার্থী প্রক্টর পরিচয়ে কাউকে হুমকি দেবে তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। এছাড়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

রুমান/এমএসআর