অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহ সিফাত

ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশ না নেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হলের ৩৫১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ কক্ষেই থাকেন ছাত্রলীগের অভিযুক্ত ওই কর্মী।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী কাজী পরশ মিয়া। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহ সিফাত। তিনি সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ইমরান সাগরের অনুসারী। আর ইমরান ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।

২০১৮ সালে শিক্ষার্থী নির্যাতনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল সিফাতকে। এছাড়া গত ৭ নভেম্বর হলের দুই ছাত্রকে মারধর ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কাজী পরশ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন আগে তিনি (সিফাত উল্লাহ) আমাকে প্রোগ্রামে যেতে বলেন। কিন্তু আমি পরীক্ষার কারণে যেতে পারিনি। আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার রুমে গেলে তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। পরীক্ষার কথা বললেও খারাপ একটা গালি দিয়ে বলেন, কিসের পরীক্ষা। পরে তার রুমমেটরা আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

জীবনের শঙ্কা বোধ করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে তাতে আমি শঙ্কিত। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। বিচার চেয়ে আমি হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সিফাতের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল ও মেসেজ দেওয়া হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশী ইমরান সাগর ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিফাত উল্লাহকে আমরা হল ছাত্রলীগের কোথাও রাখব না। এর আগেও আমার এক ছোটভাইকে সে মেরেছে। সিফাত উল্লাহ এখন আদৌ কোনো অংশ না। সিফাত যদি কিছু করে থাকে এর দায়ভার সম্পূর্ণ তার।

এ বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। হাউজ টিউটরের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি। লিখিত অভিযোগটি হাতে পেলে বিষয়টি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে জানতে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এইচআর/ওএফ