ভারতের দূষিত পানি বন্ধের দাবিতে পায়ে হেঁটে প্রতিবাদ
এম আবু হানিফ নোমান ও রাকিবুল হাসান
ভারতের আগরতলা থেকে দূষিত পানি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে মিশছে তিতাস নদীতে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সীমান্তের ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ, ধ্বংসের পথে জীববৈচিত্র্য। তাই শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ভারতের দূষিত পানির প্রবেশ বন্ধের দাবিতে ২৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে প্রতিবাদ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই শিক্ষার্থী।
এম আবু হানিফ নোমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পায়ে হেঁটে ভ্রমণকারীদের সংগঠন 'ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইকার্স'-এর আহ্বায়ক আর রাকিবুল এ সংগঠনের সদস্য।
বিজ্ঞাপন
তারা হলেন বাইসাইকেলে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণকারী এম আবু হানিফ নোমান (২৪) এবং স্কুলছাত্র রাকিবুল হাসান (২০)। নোমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস শেষ করেছেন। আর রাকিবুল পড়ছেন ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে।
তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জিরো পয়েন্ট থেকে সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে শুরু হয়। যাত্রাপথে তারা টি এ রোড, কাউতলী, রাধিকা, সুলতানপুর, চিনাইর, বাইপাস হয়ে আখাউড়া স্থলবন্ধর গিয়ে পদযাত্রা শেষ করেন। এ সময় হেঁটেছেন মোট ২৫ কিলোমিটার। সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ৫১ মিনিট। কিন্তু কর্মসূচি শেষ করার গন্তব্যে তারা পৌঁছান বেলা তিনটায়। সে হিসাবে ৬ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়েছে তাদের।
বিজ্ঞাপন
কয়েক দশক ধরে ভারতের আগরতলার দূষিত পানি আখাউড়া স্থলবন্ধর দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে, এই দূষিত পানির প্রভাবে সীমান্ত ঘেঁষা ১৫ গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে, দূষণ পানীর কারণে এলাকার প্রায় মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হন।
আবু হানিফ নোমান, প্রতিবাদ কর্মসূচির সমন্বয়ক
শুধু তা-ই নয় এই বিষাক্ত পানি, নদীর পানির সঙ্গে মিশে আখাউড়ার জীববৈচিত্র্য আজ ধ্বংসের পথে। আজকের এই পদযাত্রা থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আহ্বান করে বলছি, ভারত থেকে বিষাক্ত দূষিত বর্জ্য বাংলাদেশ প্রবেশ বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
হাঁটতে হাঁটতে তারা মানুষকে পরিবেশদূষণ রোধে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়েছেন। স্থানীয় মানুষকে নিয়ে এ বিষয়ে জনমত গঠনের চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে রাকিবুল ইসলাম বলছেন, আমরা মানুষকে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে এটা ভারত আমাদের প্রতি অন্যায় করছে। সবাইকে সজাগ করে, জনমত গঠন করে পরিবেশকে দূষণের থেকে বাঁচানোর বিষয়ে কথা বলেছি মানুষের সঙ্গে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যেন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি দূষণ বন্ধে।