স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ এ সময়ে অর্জন যেমন রয়েছে, তেমনি সমস্যাও রয়েছে অনেক। বিজয়ের মাসে এমন পাওয়া- না পাওয়ার গল্প খুঁজতেই বুধবার গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে মঞ্চস্থ হলো পালানাটক ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও ইংলিশ ক্লাব মডারেটর আশিক ইশতিয়াকের রচনা ও পরিচালনায় পালানাটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিনয় করেন।

পরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কে এম ওয়াজেদ কবির নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, স্বাধীনতা যেকোনো জাতির জন্য গৌরবের, অহংকারের। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫০ বছর পর আমাদের অর্জন অনেক। মানুষের গড় আয়, আয়ু ও শিক্ষিতের হার বেড়েছে। শুধু তাই নয়, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতাও অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এসব অর্জনকে আরও অর্থবহ করে তুলতে ঘাটতিতে থাকা জায়গাগুলোয় নজর দিতে হবে। তবেই প্রাপ্তির ঝুলি আরও সমৃদ্ধ হবে।

উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শীর্ষ অর্জন হলো স্বাধীনতা। শহীদদের স্বপ্নের এই বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

নাট্যনির্মাতা ও নির্দেশক আশিক ইশতিয়াক বলেন, পালানাটকটিতে বাংলার অতি প্রাচীন, প্রাচীন ও সমকালীন বিষয়গুলো কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরে হয়েছে। এখানে যেমন অর্জনের গল্প রয়েছে, তেমনি হতাশা ও শঙ্কার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।

ইংলিশ ক্লাব এর আগে উইলিয়াম শেক্সপিয়রের পাঁচটি নাটক মঞ্চস্থ করলেও গ্রামবাংলার ধাঁচে মঞ্চস্থ করা নাটক এটিই প্রথম। এর আগে নাটকটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় নাট্যশালা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ছয় বার মঞ্চস্থ করা হয়। 

আরএইচ