১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাবিপ্রবির স্নাতক প্রথম বর্ষের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রিপোর্টিং কার্যক্রমে অংশ নিতে নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায় (সোয়া ১২টায় পৌঁছায়)।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বাসচালক ও সুপার ভাইজারের  (শ্যামলী পরিবহন) গাফিলতির কারণে নির্ধারিত সময়ে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থী ভর্তির নিমিত্তে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হয় রিপোর্টিং কার্যক্রম। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এই রিপোর্টিং কার্যক্রম। এতে  অংশ নেয় ৮৬২ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপেক্ষমাণ তালিকায় ১০১তম হওয়া মোস্তফা গালিব  বলেন, হাবিপ্রবিতে ভর্তি হওয়ার জন্য খুবি, ইবি, শাবিপ্রবিতে ভর্তি হইনি। হাবিপ্রবির কৃষি অনুষদ আমার লক্ষ্য ছিলো। বাসের চালক যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা-নামা করায় অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। তবে হাবিপ্রবি প্রশাসন মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য আমাদের মানবিক বিষয়টি বিবেচনায় নিল না। আমি কোনোভাবেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না।

অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ৮৮২তম মারুফ ইসলাম অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, আমরা বুধবার বিকাল ৪টায় বাসে উঠার পরেও পৌঁছাতে পারলাম না। বাসায় গিয়ে পিতা-মাতাকে কী বলব? যেহেতু আমাদের দোষ ছিলো না তাই কর্তৃপক্ষ চাইলেই বিষয়টি মানবিকতার খাতিরে আমলে নিতে পারত।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সব কিছু একটি নিয়মের মধ্যদিয়েই চলে। আমরা কয়েকদিন থেকেই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি, মেসেজ কিংবা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমেও বিষয়গুলি ভর্তিচ্ছুদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে এসেছি। তারপরেও এমন ঘটনা সত্যিকার অর্থে দুঃখজনক। আমরা চাই না এমন ঘটনা পরবর্তী সময়ে আবার ঘটুক। আগামীতে যারা ভর্তি হতে আসবে তারা যাতে নির্ধারিত সময়ের মাঝে ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছায়।

রিপোর্টিং কার্যক্রম শেষে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল প্রকাশের পরপরেই গুচ্ছভুক্ত 'এ' ইউনিটের অধীনে হাবিপ্রবির অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় ছয়টি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে রিপোর্টিং অংশ নেওয়া ৮৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৮৭ জন ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। 

উল্লেখ্য, এসব ভর্তিচ্ছু ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছে হাবিপ্রবি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একাংশ। এদিকে কালক্ষেপণ করে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর কারণে ভর্তিচ্ছুরা হাবিপ্রবির প্রধানফটকের সামনে বাসের গ্লাস ভাঙচুর করে বলে জানা যায়।

এমএসআর