বেরোবিতে ১৪ বছরেও নির্মিত হয়নি স্থায়ী শহীদ মিনার
বাংলা ভাষা বাঙালি জাতির অহংকার। শহীদদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষা। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি স্থায়ী শহীদ মিনার।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর কাপড় দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে সম্মান করা হতো। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাপড় দিয়ে বানানো শহীদ মিনারে কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এরপর সম্মান রক্ষার্থে ২০১২ সালে তড়িঘড়ি করে কনক্রিটের অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরেও স্থায়ী শহীদ মিনার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুদৃষ্টির অভাবে এখনো স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বলেন, শহীদ মিনার আমাদের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কথা মনে করিয়ে দেই। দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বড় বড় শহীদ মিনার থাকলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী শহীদ মিনার না থাকা দুঃখজনক।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একে একে চারজন ভিসির মেয়াদ শেষ করে পঞ্চম ভিসি এসেছেন। কেউ শহীদ মিনার নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ দ্রুত পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার নির্মাণসহ একাধিক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের জ্ঞান লাভের জন্য শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনার থাকা জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কমলেশ চন্দ্র সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের প্লান অনুসারে সব কাজ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সব কাজ বাস্তবায়ন হলে শহীদ মিনারসহ অন্যান্য স্থাপনাও নির্মাণ করা হবে।
শিপন তালুকদার/এসপি