অমর একুশে উদযাপনে সবার সহযোগিতার জন্য ঢাবি উপাচার্যের ধন্যবাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পালনের জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত সব কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং গণমাধ্যমসহ সবার সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য উপাচার্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পালিত হয়েছে। চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছরও সবাই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা অতিথিদের স্বাগত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সর্বপ্রথম শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে তার প্রতিনিধি শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকরাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিজ্ঞাপন
একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যরা, ডিনরা, প্রক্টর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণ পর্যায়ক্রমে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৬টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি প্রভাতফেরি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়। প্রভাতফেরি সহকারে তারা আজিমপুর কবরস্থানে যান এবং ভাষা শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ করা হয়। পরে প্রভাতফেরি সহকারে তারা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গমন করেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়াসহ সব হলের মসজিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার মসজিদে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এইচআর/এসএসএইচ