দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সজনে ডাঁটা আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে পাইকারি প্রতি কেজি সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। তবে খোলা বাজারে প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। 

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দর ও স্থানীয় খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন সজনেবোঝাই মিনি ট্রাক প্রবেশ করছে। আজও দুটি সজনেবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। আর এসব আমদানিকৃত সজনে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। বন্দর থেকে পাইকারি দামে প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। তবে স্থানীয় খুচরা বাজারে আমদানিকৃত এসব সজনে ডাটা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। 

হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৬টি ভারতীয় মিনি ট্রাকে ৪৫.৫৫২ মেট্রিক টন সজনে ডাঁটা আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। হিলি শিপিং ট্রেডিং নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সজনে আমদানি করছে।

হিলি বাজারে বাজার করতে আসা রুবেল বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। শখের বসে একটু সজনে কিনলাম, দাম অনেক বেশি। ২৫০ গ্রাম সজনে ডাঁটা কিনলাম ৬০ টাকা দিয়ে। দাম কম হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

হিলির খুচরা বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বাজারে এখনও দেশীয় জাতের সজনে ওঠেনি। এ কারণে ভারত থেকে আমদানি করা সজনে ডাঁটা আমরা বিক্রি করছি। খুচরা বাজারে আমরা প্রতি কেজি সজনে ডাঁটা বিক্রি করছি ২৫০ টাকা কেজি দরে।

সজনে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাহবুবুর আলম জানান, ঢাকাসহ দেশের বাজারে বারোমাসি সজনের চাহিদা রয়েছে। যে কারণে ভারতের নাসিক থেকে আমরা সজনে ডাঁটা আমদানি করছি। আমদানিকৃত এসব সজনে ডাঁটা স্থানীয় কাঁচাবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছি। বন্দরে পাইকারি ১৫০ টাকা কেজি দরে সজনে ডাঁটাগুলো বিক্রি করছি।

হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সজনে আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। সজনে যেহেতু কাঁচামাল, তাই এটি যাতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ে বাজারজাত করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। 

সোহেল রানা/আরএআর