ভোলার মনপুরা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনীর সক্রিয় ২ সদস্যকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে বিজ্ঞ আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

বুধবার (২ মার্চ) দিবগত রাতে নোয়াখালীর হাতিয়ার তমরুদ্দিন বাজার এলাকা থেকে বাহিনীর সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন বেচু (২১) ও মো. নাহিদ হোসেন রিদয়কে (২৬) আটক করে মনপুরা থানা পুলিশ। তারা উভয়েরই বাড়ি হাতিয়া উপজেলার তমরুদ্দিন মাইজছড়া গ্রামে।

জানা যায়, ভোলার মনপুরায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মেঘনায় ইলিশ শিকারের সময় ৭ জেলের ট্রলারে হামলা চালায় হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী। এ সময় এক জেলের ট্রলারসহ প্রত্যেক ট্রলার থেকে একজন করে ৭ জেলেকে অপহরণ করে হাতিয়ার চরচেঙ্গার গহীন বনে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণের ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ও কোস্টগার্ডের চেষ্টায় তারা মুক্তি পায়। পরে অপহৃত জেলেরা বাদী হয়ে মনপুরা থানায় মামলা করেন। 

মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাঈদ আহম্মেদের নের্তৃত্বে এসআই মো. মনির হোসেন ও এএসআই ইয়াকুবসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে আটক জলদস্যুদের বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) মনপুরা সিনিয়র জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, মামলার ভিত্তিতে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাতিয়ার তমরুদ্দিন এলাকা থেকে ২ জলদস্যুকে আটক করা হয়। তাদের মোবাইল থেকে মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। জলদস্যুদের কোর্টে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।

তিনি আরও জানান, মহিউদ্দিন বাহিনী বেশ কিছু দিন থেকেই মনপুরাসহ চারপাশে বিভিন্ন এলাকার মাছ ধরার ট্রলারে লুটতরাজ ও জেলেদের অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। এই বাহিনীর প্রধান জলদস্যু মহিউদ্দিনসহ সক্রিয় বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলামন রয়েছে।

ইমতিয়াজুর রহমান/আরআই