ছেলের ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টার ভাড়া করলেন বাবা

ছোটবেলায় আকাশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে তাতে চড়ার স্বপ্ন দেখতো ছেলে। অবশেষে ছেলের বিয়েতে তিন লাখ টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করলেন; সেই হেলিকপ্টারে বর-কনেকে চড়িয়ে কনের বাবার বাড়ি পাঠানোর মাধ্যমে ছেলের ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ করলেন বাবা। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা গ্রামের ঘটনা এটি।

সাহতা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল মনসুর খান ওরফে রতন মিয়া তার প্রবাসী প্রকৌশলী ছেলে মো. মেহেদী হাসান খান রনির বিয়ে উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এমন আয়োজন করেন।

পল্লী অঞ্চলে হেলিকপ্টারে চড়ে বর-কনের যাত্রার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা দেখতে রতন মিয়ার বাড়িতে ভিড় করেন কয়েক গ্রামের মানুষ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিন আগে সাহতা গ্রামের রতন মিয়ার প্রবাসী ছেলে মো. মেহেদী হাসান খান রনির সঙ্গে‌ ঢাকার বেইলি রোডের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমগীর কবিরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আলিফার বিয়ে হয়। 

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ছিল মেহেদী হাসান খান রনির গ্রামের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ হেলিকপ্টার নিয়ে হাজির হন ছেলের বাবা রতন মিয়া। বিকেল ৫টার দিকে ওই হেলিকপ্টারে চড়ে নববধূকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান বর।

বরের বাবা মো. আবুল মনসুর খান ওরফে রতন মিয়া বলেন, আমার ছেলে ছোটবেলায় আকাশে হেলিকপ্টার কিংবা উড়োজাহাজ উড়তে দেখলেই চড়ার কথা বলতো। হেলিকপ্টার বা উড়োজাহাজ কিনার সামর্থ্য আমার নেই। তাই ছেলের বিয়েতে হেলিকপ্টারের ভাড়া করে ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ করেছি। অল্প সময়ের জন্য হলেও ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়াতে পেরে আমার ভালো লাগছে।

বর মো. মেহেদী হাসান খান রনি বলেন, ছোটবেলায় হেলিকপ্টারে চড়ার স্বপ্ন ছিল আমার। মূলত সেই স্বপ্ন পূরণ করতে বাবা আমার বিয়েতে এ আয়োজন করেছেন। আমি বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

সাহতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পল্টন সরকার বলেন, গ্রামে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা বিরল। আমার ইউনিয়নে এটি প্রথম। তাই বিয়েতে হেলিকপ্টার দেখে রতন মিয়ার বাড়িতে মানুষ ভিড় করেছেন।

এএম