৯ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কলেজছাত্রের লাশ
নিহত সাকিব আল মামুন
সাভারে ছয় হাজার টাকার জন্য সাকিব আল মামুন (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। হত্যার পর তার মরদেহ একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সাভারের বলিয়াপুরের কুন্ডা কোটপাড়া এলাকার আবুল কাসেমের নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে সাকিব আল মামুনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজের ৯দিন পর তার মরদেহ পাওয়া গেল।
বিজ্ঞাপন
নিহত সাকিব আল মামুন বলিয়াপুরের কুন্ডা কোটপাড়া এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। তিনি আমিন বাজার এলাকার মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ জানায়, ওই এলাকার কাশেমের বাড়ির পাশ দিয়ে পথচারীরা যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একজনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে পচন ধরেছে। দেখে চেনার মতো অবস্থা নেই। তবে তার মা ও ভাই পায়ের জুতা ও গায়ের গেঞ্জি দেখে সাকিব আল মামুনের মরদেহ শনাক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
নিহত সাকিব আল মামুনের ভাই রাকিব বলেন, আমার ভাই গত ১৭ মার্চ কোটাপাড়া থেকে নিখোঁজ হন। তার মোবাইল বন্ধ থাকায় কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সাভার থানায় নিখোঁজের জিডি করি। আমার ভাই আল-আমিন ও শাহিনের কাছে ছয় হাজার টাকা পেতো। সে মোটরসাইকেল কিনে চাইতো, আমরা দিতাম না। পরে সে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেই চাকরি করতো আর টাকা জমাতো। সেই টাকা থেকে তাদের টাকা ধার দিয়েছিল। তারাসহ পিয়াস, নাভিন ও ইমন মিলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তারা অনেক টাকাওয়ালা, আমরা মনে হয় বিচার পাব না।
সাভারের ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
মাহিদুল মাহিদ/আরএআর