পদ না পাওয়ায় ছাত্রদল সভাপতিকে পিটিয়ে পুকুরে ফেললেন কর্মীরা
ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম
নতুন কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় ও যোগ্যদের পদ না দেয়ায় ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে পিটিয়ে পুকুরে ফেলেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নূরে আলমকে পিটিয়ে ভোলা সরকারি স্কুলের পুকুরে ফেলেন নেতাকর্মীরা। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পদবঞ্চিত থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত সাকিল, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ভোলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আকাশ, যুগ্ম সম্পাদক রুবেল, পৌর ছাত্রদল নেতা পিয়াস ও ইমরান বলেন, ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আল আমিন ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করেছেন। হামলা-মামলার আসামি, নির্যাতিত জেলার ১৯ ইউনিটের ত্যাগী নেতাকর্মীদের পদবঞ্চিত করেছেন তারা। নতুন কমিটিতে অতিথি পাখিরা পদ পেয়েছেন। আমরা এই কমিটি মানি না।
তারা বলেন, তিন ইউনিটের কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন নূরে আলম। তিন ইউনিটে ত্যাগী নেতাকর্মীদের পদ দেয়া হয়নি। আমরা এ কমিটি বয়কট করেছি। নূরে আলমকে চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি আমরা।
বিজ্ঞাপন
ভোলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল বলেন, ছাত্রদলের ত্যাগী নেতাদের পদ না দিলে এবং কমিটি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করব।
এ বিষয়ে জানতে ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য আসিফ আলতাফ বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। আমি মারামারি পছন্দ করি না। এরা নূরে আলমকে পিটিয়ে পুকুরে ফেলেছে; কাজটা ঠিক করেনি। পদবঞ্চিতরা দিনের পর দিন রাজনীতি করে কিছু পাওয়ার আশায়। কিন্তু তাদের জীবন নষ্ট করছেন
হাফিজ ইব্রাহিমদের মতো লোকেরা। তাদের অপকর্মের জন্য এসব ছেলের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। হয়তো তাই মারামারি করতে বাধ্য হয়েছে এসব ছেলে।
এএম