সাভারের আশুলিয়ায় পোশাকশ্রমিক দম্পতির কন্যাশিশু আঁখি আক্তার চুরির ঘটনায় চার দিন পার হলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে আশুলিয়ার টেঙ্গুরী এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক যুবক।

চুরি যাওয়া ওই শিশু টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার পাইক্কা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে। সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার আলী হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন ও তার স্ত্রী পোশাকশ্রমিক বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শিশুটি বাড়ির পাশের দোকানের সামনে তার ৫ বছর বয়সী ভাই মিরাজের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। এ সময় এক যুবক আঁখিকে কোলে তুলে দ্রুত হেঁটে চলে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে শিশুর দাদা আবুল হোসেন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আঁখিকে চুরি করা ওই যুবক আলী হোসেনের বাড়িতে দুই থেকে তিন দিন আগে বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য আসে। বাড়ির ম্যানেজার বাসা ফাঁকা নেই বলে জানিয়ে দিলে সে চলে যায়। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার ওই যুবক আবার আলী হোসেনের বাড়িতে আসে। এ সময় কথাবার্তা বলতে বলতে মিরাজ ও আঁখিকে ১০ টাকা দিয়ে দোকান থেকে চকলেট কিনতে বলে। মিরাজ আঁখিকে দোকানের সামনে রেখে চকলেট কিনতে যায়। এ সময় ওই যুবক দোকানের সামনে থেকে আঁখিকে কোলে তুলে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

চুরি যাওয়া শিশু আঁখির মা মিরা আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে চুরি করার সময় অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু চোরকে সবাই আমাদের আত্মীয় ভেবেছেন। আমি কাজে থাকা অবস্থায় মেয়ে চুরি হওয়ার খবর পাই।

আঁখির বাবা সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো কাজ করছিলাম। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমার মা জানায়, আঁখিকে চুরি করে নিয়ে গেছে। আঁখিকে অনেক খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, মা বলেছেন এক যুবক বাসা খোঁজার অজুহাতে আমার মেয়েকে চুরি করে নিয়ে গেছে। আমার ছেলে মিরাজের পাশ থেকেই আঁখিকে চুরি করে চোর। আমার ছেলেও ছোট হওয়ায় সে বুঝতে পারেনি।

আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা বিশ্লেষন করে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে তার চেহারা ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না। অচেনা কেউ ভুক্তভোগী পরিবারকে ফোন দিলেই তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে শিশুকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাহিদুল মাহিদ/এসপি