সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বহুল আলোচিত এই মামলার বাদী মাইদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতোমধ্যে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় ৪ এপ্রিল একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।

জিডির বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আহসান।

জিডির বিষয়ে ভুক্তভোগী মাইদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রাণনাশের ভয়ে আছি বলেই তো থানায় গিয়ে জিডি করে এসেছি। জিডি করার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ সুরমা থানা থেকে বা পুলিশের পক্ষ থেকে আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। এমতাবস্থায় আমি খুবই ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় আছি।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন- গত ২৯ মার্চ সকাল ৯টার দিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি সিএনজি অটোরিকশাযোগে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ করেন। তিনি বাড়িতে না থাকায় তার বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও হুমকি দিয়ে চলে আসে। 

অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি মাইদুল ইসলামের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে নাম-ঠিকানা-পরিচয় গোপন রেখে তাকে বিভিন্ন ধরণের কথা-বার্তা ও হুমকি-ধামকি প্রদান করে। গত দুদিন থেকে কয়েকবার কল দিয়ে তাকে ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ও মামলা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সিলেটের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের ক্ষতিসাধন, মিথ্যা মামলা এবং জানে মারার হুমকি প্রদান করে। এ অবস্থায় তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এক গৃহবধূ। এরপর পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। 

সেখানে ওসিসিতে তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মাসুদ আহমদ রনি/আরআই