বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহ ও ১০ হাজার টাকার জন্য বন্ধু সালাউদ্দিনের হাতে খুন হন ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি সালাউদ্দিন ভূইয়া (৩৯) ও তার সহযোগী আবদুর রহমানকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার (১৮ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
 
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সহযোগী আব্দুর রহমানকে গাজীপুর থেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তিতে প্রধান আসামি সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ফরিদ ও সালাউদ্দিন বন্ধু ছিলেন। সালাউদ্দিন মাঝেমধ্যেই তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রামে থাকতেন। এ সময় তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে ফরিদকে সন্দেহ করতেন। তা ছাড়া ঘটনার দিন রাতে ফরিদ উদ্দিনের মানিব্যাগে তিনি ১০ হাজার টাকা দেখতে পান। এই টাকার লোভ ও স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয় সন্দেহে সালাউদ্দিন তার সহযোগীকে নিয়ে ফরিদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে বঁটি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ফরিদকে নিজ ঘরে হত্যা করেন সালাউদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফরিদগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ, ডিআইও-১ মনিরুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ হোসেন। 

প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিজ বসতঘর থেকে ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম কাউনিয়া ভূঁইয়া বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বাড়িতে অবস্থান করার পাশাপাশি বিকাশ থেকে মোবাইলে টাকা রিচার্জের ব্যবসা করতেন তিনি। আশপাশের লোকজন আজ দিনে তাকে দেখলেও সন্ধ্যার পর থেকে তার সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে প্রতিবেশীরা তার খোঁজ নিতে ঘরে যান। সেখানে একটি কক্ষে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

শরীফুল ইসলাম/এনএ