বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বিক্ষোভ
স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদান ও করোনাকালীন বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে পরিবার-পরিজনসহ খনি গেটে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খনি শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে স্মারকলিপি দিয়ে সমস্যা সমাধানে ১৫ রমজান পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন। খনি কর্তৃপক্ষ এ সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ১৯ এপ্রিল থেকে তিন দিনব্যাপী আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শ্রমিকরা।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার সকালে খনির প্রধান গেটে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। রমজানের কারণে দুপুর ১টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে সকল শ্রমিককে তাদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানের সুযোগ দিতে হবে। করোনাকালীন বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও খনি ভেতরে শ্রমিকদের অবরুদ্ধ করে রাখা ও তাদের ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ১২ ঘণ্টা কাজ করানোর প্রতিবাদ জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর ব্যাপারে তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বকেয়া বেতনের ব্যাপারে তিনি বলেন, করোনাকালে তো শ্রমিকরা কাজই করেনি। কাজ না করলে বেতন পাবে কীভাবে?
ইমরান আলী সোহাগ/আরএআর