বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর : যুবলীগ সভাপতি বহিষ্কার
যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আনিচুর রহমান আনিচ
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত থাকার দায়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান আনিচকে (৩৫) দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগদের দফতর সম্পাদক মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
মনোয়ার হোসেন বলেন, ভাস্কর্য ভাঙচুর রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। এমন ন্যাক্কারজনক কাজে জড়িত থাকার অপরাধে কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিচকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হাসান রিন্টু বলেন, বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান আনিচকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুবলীগে কোন নেতা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে না। ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে স্থাপিত ভাস্কর্যটির নাক ও ডান গালের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে। পরে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়া মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু, নৈশ প্রহরী খলিলুর রহমান ও কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানকে আটক করা হয়।
পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার দেখিয়ে অন্যদের ছেড়ে দেয়া হয়। তাছাড়াও সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০) নামে দুইজনকে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ইংরেজ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন বিপ্লবী বাঘা যতীন। কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের বাস্তুভিটায় কয়া মহাবিদ্যালয়ে কয়েক বছর আগে স্থাপন করা হয় তার ভাস্কর্যটি।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখমণ্ডল ও বাম হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
এসপি