কুড়িগ্রামে ৯০০ পরিবারের জন্য ২৫ কম্বল
ঘন কুয়াশায় দূরের যানবাহন অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে
কুড়িগ্রামে গত তিনদিন ধরে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। দিনে সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা।জেলায় রোববার (২০ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা গেছে, জেলার চার শতাধিক চরের প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে চলছে শীত নিবারণের চেষ্টা।
বিজ্ঞাপন
সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সরকারি পর্যায়ে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও কোনো বেসরকারি সংস্থা কিংবা বিত্তবানরা এখন পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি।
কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের আমিনা বেগম জানান, কয়দিন থেকে ঠান্ডায় বাইরে হওয়া যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কোনো কিছু আমি পাই নাই। আমাদের গরীব মানুষগুলোর জন্য আল্লাহ আছে।
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওর্য়াডের সদস্য মো. আইয়ুব আলী খান জানান, গত তিনদিন ধরে আমাদের এখানে প্রচুর ঠান্ডা। আমি সরকারিভাবে মাত্র ২৫টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি, তা বিতরণ করা হয়েছে। আমার ইউনিয়নের ৯শ পরিবারের জন্য ২৫টি কম্বল অপ্রতুল।
উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম আমিন বলেন, ঠান্ডায় আমি নিজেও জমে গেছি। সরকারিভাবে ২শ কম্বল পেয়েছি। এখনও বিতরণ করা হয়নি। আগামীকাল বিতরণ করার কথা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, আমার ইউনিয়নেও খুব ঠান্ডা। বেকায়দায় পরেছে এখানকার দিনমজুর। সরকারিভাবে ৪শ কম্বল পেয়েছি, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলার আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসপি