পাবনায় আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

পাবনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আমিরুল ইসলাম (২৮) নামের এক আওয়ামী লীগের কর্মী নিহত হয়েছেন। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আতাইকান্দা বাজারে ভুষির মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত আমিরুল ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের মন্তাজ বেপারীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন তিনি।

এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমিরুলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল প্রতিপক্ষের। রোববার হঠাৎ আমিরুল ইসলামকে পরপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদের বিরোধ চলছিল। সুলতান মাহমুদের সমর্থক ছিলেন আমিরুল।

ভাঁড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সুলতান মাহমুদ বলেন, আমিরুল দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে রাজনীতি করছে। নিরীহ মানুষ ছিল আমিরুল। তার এক ছেলেসন্তান রয়েছে; এখন এতিম হয়ে গেল। তার হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে আতাইকান্দা বাজারে আমিরুলসহ তার সহযোগীরা আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ৮-১০ জনের একদল যুবক আমিরুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন অন্যরা ভয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই নিহত হন আমিরুল। 

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকাটি দুর্গম ও সন্ত্রাসকবলিত। কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পূর্ববিরোধ চলছিল তাদের মধ্যে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি আমরা।

রাকিব হাসনাত/এএম