আঞ্জুমান আরা বন্যা

ঠাকুরগাঁওয়ে চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বন্যা প্রথম নারী মেয়র হিসেবে ২৬ হাজার ৫০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জিলহাজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তার নিকটতম বিএনপির (ধানের শীষ) শরিফুল ইসলাম শরিফ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আনোয়ার হোসেন (হাতপাখা) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৩ ভোট।

সকাল ৮টা থেকে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ও রাণীশংকৈল পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা প্রতীক) আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, বিএনপির শরিফুল ইসলাম শরিফ (ধানের শীষ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আনোয়ার হোসেন (হাতপাখা)।

এর আগে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় নির্বাচনী প্রচারণায় প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পৌর নির্বাচনের এক প্রচারণা সভায় বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মাহমুদা বেগম বলেন, ‘যারা নৌকায় ভোট দিতে না চান, ১৩ তারিখের পরে আপনাদের চেহারা এলাকায় দেখতে চাই না। কোথায় যাবেন আমি জানি না। যারা নৌকায় ভোট দেবেন না, তারা ঠাকুরগাঁও থেকে চলে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাহারাদার হিসেবে আমরা আছি। আমরা ঠাকুরগাঁও থেকে যাব না। নৌকা নিয়েই আমরা ঢাকা ফিরে যাব।’

নৌকার প্রতীকের আঞ্জুমান আরা বন্যা মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য। এ জন্য তার পক্ষে প্রচারণা চালাতে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মাহমুদা বেগম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ১৮৬টি কক্ষে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৬০ হাজার ৭২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২৯ হাজার ৭১২ ও নারী ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ১৫ জন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে দেশের ২৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় ও তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপে দেশের ৩১টি পৌরসভায় নির্বাচন হবে।

তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৬৯ জন, বিএনপির ৯ জন ও স্বতন্ত্র ২৫ জন প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচনে মেয়র পদে তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৬ জন, বিএনপির তিন ও স্বতন্ত্র ১৪ জন বিজয়ী হন।

দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৫ জন, বিএনপির চারজন, জাতীয় পার্টির একজন, জাসদের একজন ও আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন।

প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন, বিএনপির ধানের শীষের দুইজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন।

নাহিদ রেজা/এমএসআর