বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ ব্যবস্থাপনা দেখতে রাজশাহীতে এসেছেন নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী পাম্পা ভুসাল। বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ছলং গ্রামে বিএমডিএর গভীর নলকূপ পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপিস্থিত ছিলেন- নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবেন্দ্র কারকি, জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সুরেন্দ্র লাভ কর্ণ, জলসম্পদ ও সেচ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশীল চন্দ্র আচার্য, নেপালের যান্ত্রিক সেচ উদ্ভাবন প্রকল্পের পরিচালক দীপেন্দ্র লৌদারি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি দিল বাহাদুর প্রমুখ।

পরে অতিথিরা গোদাগাড়ীর আমতলী এবং সরমংলা খাল পরিদর্শনে যান। সরমংলা খালপাড়ে বিএমডিএ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন অতিথিরা। এমডিএর চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহানের সভাপতিত্বে এ সময় বিএমডিএর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএমডিএ জানিয়েছে, গভীর নলকূপের মাধ্যমে বিএমডিএ কীভাবে ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলছে, কৃষক কীভাবে প্রিপেইড মিটারের সাহায্যে পানি নিচ্ছেন, কীভাবে তা কৃষকের জমিতে যাচ্ছে এসব ঘুরে ঘুরে দেখেছেন অতিথিরা। গভীর নলকূপে তোলা পানি কীভাবে পাইপলাইনের মাধ্যমে খাবারের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে তারা সেটিও দেখেছেন।

নেপালের সেচ মন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি পরে আমতলী এবং সরমংলা খাল ঘুরে দেখেন। সেখানে বরেন্দ্র অঞ্চলের সেচ ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয়াদি তুলে ধরেন বিএমডিএ কর্মকর্তারা।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পুষ্কর শ্রীবাস্তব, ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার আলুমগীর আকন্দরা, জলসম্পদ বিশেষজ্ঞ মিসেস মারিয়া ল’হোস্টিস, নেপাল রেসিডেন্ট মিশনের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার অরুণ রানা, এডিবির কনসালেন্ট আশীষ ভদ্র খল ও পরামর্শক ড. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই