পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
ঘাগড়া সীমান্ত ফাঁড়ি
পঞ্চগড়ে ওমর ফারুক নামে এক পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে ওই ইউনিয়নের মোমিনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৩ এর ৭ ও সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করে ওমর ফারুকসহ তিন পুলিশ সদস্য। পরে ওই এলাকায় ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে তাদের তর্ক হয়। ধস্তাধস্তি শুরু হলে ওমর ফারুককে ভারতীয়রা মারধর করে আটকে রাখে এবং পরে তারা বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। এ সময় মোশাররফ হোসেনসহ দুই পুলিশ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ওমর ফারুক নামে ওই পুলিশ সদস্যকে এই এলাকায় প্রথম দেখেছি। মোশারফ নামে আরেক পুলিশ সদস্য প্রায়ই এ সীমান্তে আসেন। তিনি তাকে এই এলাকায় নিয়ে এসেছেন। মোশারফ ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানান স্থানীয়রা।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওমর ফারুক নামে ওই পুলিশ সদস্য আদালতের বিচারকদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করতেন। তার বাড়ি দিনাজপুরে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ওই পুলিশ সদস্যকে ভারতের বিএসএফ ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।
বিজ্ঞাপন
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহমদ বলেন, ওমর ফারুক নামে ওই পুলিশ সদস্য বিএসএফের কাছে আটক আছে। তবে ঘটনার বিস্তারিত ও তার অবস্থান সম্পর্কে জানাননি তিনি।
এ বিষয়ে রোববার রাত থেকে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার ও নীলফামারী ৫৬ বিজিবি অধিনায়কের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
ঘাগড়া সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রুহুল আমিন বলেন, আমরা ঘটনাটি স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। তবে তিনি কেন ভারতীয় সীমান্ত গেছেন আমরা জানি না। আমরা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন তিনি এখন জলপাইগুড়ির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক বা চিঠির পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
রনি মিয়াজী/এসপি