কাজে আসছে না ২৩ লাখ টাকার সেতু
সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না এলাকাবাসীর | ছবি : ঢাকা পোস্ট
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নে প্রায় ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ ব্যয়ের পুরো টাকা উত্তোলন করলেও এখনও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৫ টাকা ব্যয়ে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেপারীপাড়া থেকে ইদ্রিস মিয়াপাড়া সড়ক অভিমুখে খালের ওপর ৩৩ ফুট দীর্ঘ একটি আরসিসি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি স্থানীয়দের কোনো কাছে আসছে না।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের বেপারীপাড়া ও ইদ্রিস মিয়াপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদীর শাখা। এই পদ্মা নদীর শাখার খাল পারাপারের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার্থে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এই সেতু নির্মাণে গ্রামবাসী খুশি হলেও এখন তারা এর কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। জরুরি ভিত্তিতে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি সচল করার দাবি এলাকাবাসীর।
বেপারীপাড়া গ্রামের ছামাদ শেখ বলেন, সেতু নির্মাণের আগেই রাস্তা ভালো ছিল। পায়ে হাঁইটা ও ভ্যান-রিকশা নিয়া চলাচল করা গেছে। এখন সেতু নির্মাণ করার পরও সংযোগ সড়ক না থাকায় আর ওই রাস্তায় চলাচল করা যায় না।
বিজ্ঞাপন
ইদ্রিস মিয়াপাড়ার রফিকুল বলেন, সেতু নির্মাণের বরাদ্দের পুরো অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। অথচ প্রায় এক বছর হলো সেখানে কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এলাকাবাসী ওই রাস্তায় চলাচল করতে পারছেন না।
ওই গ্রামের ভ্যানচালক শাহজাহান আলী বলেন, সড়ক না থাকায় ভ্যান নিয়া সেতুর ওপর দিয়া যাওয়া যায় না। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূর দিয়া ঘুইরা যাইতে হয়।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু সাঈদ মন্ডল বলেন, সেতু নির্মাণের সময় খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে সেখানে কিছু মাটি ভরাট করা হয়। গত বন্যায় পানির স্রোতে সেগুলো ভেসে গেছে। নতুন বরাদ্দ পেলে আবারও সেখানে মাটি ভরাট করা হবে এবং অচিরেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
মীর সামসুজ্জামান/আরএআর