লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা তিন বিঘা করিডোর পরিদর্শন করতে আসছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।

শুক্রবার (৬ মে) ভোর থেকে বিজিবি ও বিএসএফ করিডোর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে দুই দেশের মানুষকে তল্লাশি শুরু করেছে।

এর আগে ২০১৫ সালে ৩১ মার্চ ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ের আগে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তিন বিঘায় এসেছিলেন। ছিটমহল বিনিময়ের পর এই প্রথম তিন বিঘায় আসছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বর্তমানে বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ৬ নং ব্যাটালিয়ন তিন বিঘা করিডোরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ১৯৯২ সালে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে বহুল আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল পায় বাংলাদেশ। এরপর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর করিডোর দিয়ে বাংলাদেশিদের যাতায়াতের সুযোগ দেওয়া হয়। করিডোর দিন-রাত খোলা রাখার জন্য দাবি উত্থাপিত হলে ২০০১ সালে ২৭ এপ্রিল থেকে তা সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

সর্বশেষ গত ২০১১ সালে ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা-মনমোহন বৈঠকে স্বাক্ষরিত চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশিদের যাতায়াতের জন্য তিন বিঘা করিডোর বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হচ্ছে।

দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা তিন বিঘা করিডোর পরিদর্শন করবেন। সে কারণে এখানকার মানুষ বরণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তবে শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের মানুষকে সাক্ষাৎ করতে দেবে না। তাই অনেকেই বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

৫১ বিজিবি পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার খাইরুল ইসলাম বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তিন বিঘা করিডোর পরিদর্শন করবেন। ৫১ বিজিবির পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশের মানুষদের সঙ্গে কথা বলবেন কি না, এমন তথ্য বিজিবির কাছে নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এনএ