চোখ রাঙায় ‘অশনি’, তালা দিয়ে ‘ঘুমায়’ টেকনাফ আবহাওয়া অফিস
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে কখনো বৃষ্টি, কখনো দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে এক্ষেত্রে উপকূলীয় উপজেলা টেকনাফের আবহাওয়া অফিস সম্পূর্ণ বিপরীত।
মঙ্গলবার দুপুরের ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থা জানতে টেকনাফ আবহাওয়া অফিসে গেলে দেখা যায়, মূল ফটকে ঝুলছে তালা। দীর্ঘ এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও অফিসে দেখা যায়নি কাউকে। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাড়াশব্দ পাওয়া না গেলেও শোনা যায় অফিস প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ানো গরু-ছাগলের ডাক।
বিজ্ঞাপন
টেকনাফ উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে সেখানকার জনসাধারণের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আড়াই লাখ স্থানীয় বাসিন্দার পাশাপাশি সেখানে আরও বাস করে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। তাদের বৈরী আবহাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানানোর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি টেকনাফ আবহাওয়া অফিসকে।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের, টেকনাফের সভাপতি তারেক মাহমুদ রনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তাদের এমন দায়িত্বহীন আচরণ কাম্য নয়। সরকার কোটি টাকা খরচ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আবহাওয়া অফিসগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন কর্মকাণ্ড সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে কথা হয় টেকনাফ উপজেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক শফিউল আলমের সঙ্গে । তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, টেকনাফ অফিসে আমরা তিনজন কর্মকর্তা আছি। তার মধ্যে একজন ছুটিতে আছেন। আমি দুপুরে বিদ্যুৎ বিল দিতে যাওয়ায় গেট বন্ধ ছিল।
সাইদুল ফরহাদ কক্সবাজার/আরএইচ