শেরপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ৮ হাজার ৮০০ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৩০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১২ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শেরপুরের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ সদর উপজেলার গাজীরখামার বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওই বাজারের সাথী স্টোরের মালিক আবু সায়েম সাথীর বাসা ও দুটি গুদাম থেকে কার্টন ভর্তি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় পাঁচ হাজার লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে তেল বিক্রি ও অবৈধভাবে মজুতের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দুটি ধারায় ওই ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এরপর বিকেলে ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ উপজেলার তিনানী বাজারে অভিযান চালিয়ে সততা স্টোর ও ব্রাদার্স স্টোর থেকে ৩ হাজার ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে। অবৈধভাবে মজুতের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের দুটি ধারায় ওই দুই ব্যবসায়ীকেও ৫০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শেরপুরের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মজুতকৃত তেলগুলোর বোতলে তিন মাস আগের মূল্য লেখা রয়েছে। তবে মূল্যের সিল কৌশলে উঠিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি লিটার সয়াবিন ২০০ থেকে ২১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা। জব্দকৃত পাঁচ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বোতলের গায়ের মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে জানান, পুরো দেশের ন্যায় শেরপুর জেলাতেও অবৈধ তেল মজুতদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জাহিদুল খান সৌরভ/আরএআর