দগ্ধ ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণের চেইন নিয়ে বিরোধে কেরোসিন তেল ঢেলে রাশেদা বেগম নামে এক গৃহবধূর শরীরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই গৃহবধূর শরীরের ৫০ ভাগ ঝলসে গেছে বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন। 

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রাশেদা চরউভূতি গ্রামের জাহের হোসেনের স্ত্রী। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে রাশেদাকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অভিযুক্তরা হলেন- রাশেদার দেবরের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় মাইন উদ্দিন, শাহজাহান, লিটন ও আশরাফ। তবে তার দেবরের নাম জানা যায়নি। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেবরের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে রাশেদার শ্বশুরবাড়ির বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই মঙ্গলবার বিকেলে দেবরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাশেদার শরীরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় রাশেদার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুনে ঝলসানো অবস্থায় রাশেদা নামে এক নারীকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার শরীরের ৫০ ভাগই পুড়ে গেছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, রাশেদার স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।  

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর