কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হেফাজতের বিক্ষোভ
মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সমাবেশ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
হেফাজতে ইসলাম নোয়াখালী শাখার উদ্যোগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় জেলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে এই সমাবেশ শুরু হয়ে জেলা প্রশাসন ভবনের সামনে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
কোম্পানীগঞ্জের একটি ওয়াজ মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জা ২ বক্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দের প্রতিবাদে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছে।
এ সময় হেফাজতে ইসলামের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর জেলা প্রশাসকের কাছে ৪ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন।
বিজ্ঞাপন
হেফাজতের নোয়াখালী জেলা সভাপতি শিব্বির আহমদ বলেন, ‘ইসলামকে রক্ষা করবে আলেমরা। এই ব্যক্তি (কাদের মির্জা) কীভাবে আলেমদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তিনি দুই বক্তাকে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন। এই ‘পাগল’কে সরকার সামলাক না-হয় পাগলা গারদে পাঠিয়ে দিক।’
অনুষ্ঠানে মির্জা কাদেরের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত মির্জা কাদেরকে গ্রেফতার না করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেন হেফাজতের বক্তারা। সমাবেশে মির্জা কাদেরকে ‘পাগল’ বলেও আখ্যা দেন তারা।’
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম ছাড়াও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ (বেফাক) বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের বড়রাজাপুর গ্রামের ছিদ্দিকিয়া নুরানি মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহসভাপতি আবদুল কাদের মির্জা।
ওই মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জা বক্তা ইউনুছ ও ইমরান হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরদিন তাদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেন।
আসিব আল আমিন/এমএসআর