শুনানি শেষে দুই আসামিকে আদালত থেকে জেলহাজতে নেওয়া হয়

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে নারীকে (৩৬) বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক জয়নাল আবেদীন।

মামলার দুই আসামি হলেন দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন এবং তার সহযোগী আবুল কালাম। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এ সময় অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

দেলোয়ার হোসেন এবং তার সহযোগী আবুল কালাম

আসামিদের কাছে আইনজীবী নিয়োগ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে আদালতকে দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোনো আইনজীবী আমাদের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি হচ্ছে না।

আদালত অনুমতি দিলে আইনজীবী দাঁড়াবেন এমন কথা দেলোয়ার জানালে বিচারক বলেন, এ বিষয়ে অনুমোতির প্রয়োজন নেই। যেকোনো আইনজীবী আসামির পক্ষে দাঁড়াতে পারেন।

অভিযোগ গঠনের আগে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশিদ লাভলু আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান। শুনানি শেষে দুই আসামিকে জেলহাজতে নেওয়া হয়।

মামলায় বাদীপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রাছুল। তাকে সহায়তা করেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে আয়েশা বেগম শিরিন, শাহিদা আক্তার, ছালেহা বেগম ও কল্পনা রানী দাশ।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশিদ লাভলু বলেন, আদালত থেকে এ মামলায় আসামিদের পক্ষে টেস্ট ডিফেন্স হিসেবে কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা।

৪ অক্টোবর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয়। ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষণ, নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে তিনটি মামলা করেন নির্যাতিত নারী।

হাসিব আল আমিন/এএম