নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কৃষি ব্যাংকের ঋণ মঞ্জুর করতে ঘুষ আদায়ের দায়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে পৃথক ধারায় ৩০ মাসের এবং ঘুষ লেনদেনে সহযোগিতার দায়ে ব্যাংকের বরখাস্তকৃত সিকিউরিটি গার্ডকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ব্যাংকের ফিল্ড কর্মকর্তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বুধবার (১ জুন) বেলা ২টার দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হাফিজ উল্যা বেগমগঞ্জ উপজেলার কৃষি ব্যাংক কাদিরপুর শাখার ফিল্ড অফিসার (বরখাস্তকৃত) এবং তিনি সদর উপজেলার উত্তর ফকিরপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে। একই ব্যাংকের বরখাস্তকৃত সিকিউরিটি গার্ড বেগমগঞ্জ উপজেলার খানপুর গ্রামের মৃত ছিদ্দিক উল্যার ছেলে মো.আহছান উল্যা।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানায়, ২০১৮ সালে মো. হাফিজ উল্যাহ বেগমগঞ্জ উপজেলার কৃষি ব্যাংক কাদিরপুর শাখার ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন কৃষিঋণ প্রার্থী মাহফুজুর রহমান তারেকের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা কৃষিঋণ মঞ্জুর করতে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে দুদকের পাতা ফাঁদে তারেক ব্যাংক অফিসার আসামি হাফিজ উল্যাকে দেন। দুদক তখন হাতেনাতে ধরে। ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মো. আহছান উল্যা ঘুষের টাকা লেনদেনে সহযোগিতা করে।

পরে মামলাটি তদন্ত করে দুদক সজেকা নোয়াখালীর তৎকালীন উপপরিচালক তালেবুর রহমান তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পিপি বলেন, দুপুর ২টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক রায় দেওয়ার সময় মামলার দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দুটি ধারায় ব্যাংকের বরখাস্ত হওয়া ফিল্ড অফিসারকে ৩০ মাসের এবং ঘুষ লেনদেনে সহযোগিতার অপরাধে বরখাস্ত হওয়া সিকিউরিটি গার্ড আহছান উল্যাকে দুটি ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হাসিব আল আমিন/এনএ