চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের রক্তদান এবং লাশ বহনে সহায়তা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শত শত শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম মেডিকেলে রক্তদান ছাড়াও জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা লাশ বহন করতে দেখা যায় চবি শিক্ষার্থীদের। তাদের মধ্যে আলী তানবির ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, রাতে ঘটনা শোনার পর পরই আমরা ছুটে আসি। প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এসে রক্ত দিয়েছেন। আমরা এখন জরুরি বিভাগে লাশ বহন এবং সহায়তায় কাজ করছি। 

তারা আরও বলেন, মানবতার ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষার্থীরাই সবার আগে এগিয়ে আসে। আজও তার বিপরীত হয়নি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী এসে রক্ত দিয়ে সহায়তা করছেন।

এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।

এরই মধ্যে ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ জন। এ ঘটনায় তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

রুমান/এসপি