কাউন্সিলর সোহেল রানা আশা

কুষ্টিয়ার লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের ওপর হামলাকারী কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল রানা আশাসহ তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ তারিক এজাজ এ আদেশ দেন। 

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘড়িয়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে কাউন্সিলর সোহেল রানা আশা (৪৫), একই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে ভ্যাচপা ফারুক (৪৫) ও পলান মন্ডলের ছেলে আনছের আলী (৩৫)। 

এর আগে ওই মামলায় কাউন্সিলর সোহেল রানা আশাসহ চার আসামিকে হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন দিয়েছিল। পরে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার অপর একজন আসামি আগে থেকেই জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরতলীর লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা দখল করে নির্মাণ সামগ্রীর রেখে কাউন্সিলর আশা ঠিকাদারি কাজের জন্য বিভিন্ন ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ করে আসছিলেন। এ ছাড়াও বিদ্যালয় চলাকালীন মেশিনের মাধ্যমে বিকট শব্দে ইট ভাঙার কাজ করা হতো ও বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ক্ষমতার জোড়ে ব্যবহার করতেন কাউন্সিলর। 

এ নিয়ে চলতি বছরের ৩১ মার্চ সকাল ১০টার দিকে লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম প্রতিবাদ করতে গেলে কাউন্সিলর আশাসহ আসামিরা প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। পরদিন ১ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউন্সিলর আশাসহ চারজনের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।

প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে বিচারের দাবিতে দুই দফা মানববন্ধনও করে। 
 
এ বিষয়ে মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন তার নিজ গতিতে চলবে। আমার ওপর হামলাকারী আসামিদের সঠিক বিচারের দাবি জানাই। 

রাজু আহমেদ/আরএআর